Posts

Featured Post

কবিতাঃকলিযুগের সমাজ ,কবি -জাহানুর হোসেন ,New Bengali Poem- Koli Juger Somaj . Poet- Jahanur Hushen

 কলিযুগের সমাজ         জাহানুর হোসেন সমাজ হইলো সভ্যতার কারিগড় , সাধারন মাটি দিয়া তৈরি হয় ঘড়। এ কেমন কলিযুগ? যেখানে জনক জননী অপুজ্য, আর মেয়েদের নাকি অসর্য । এ কেমন কলিযুগ? যেখানে মাতাকে ঘৃণা আর পিতাকে অসম্মান, যেখানে মেয়ে কে জন্ম দিলে নাকি সমাজের কাছে  অপমান। এ কেমন কলিযুগ? যেখানে না পাওয়া যায় সম্মান, না পাওয়া যায় ভালোবাসা । যেখানে মেয়েদের মন খুলে শ্বাস নয় অন্ধকারে রাখে  আশা। এ কেমন কলিযুগ? যেখানে মেয়েদের সম্মান নয়, করা হয় অপমান । যেখানে মেয়েদের স্বপ্ন ভাবেনা, না বুঝে কন্যাদান। এ কেমন কলিযুগ? যেখানে শিক্ষার ধারায় কিছু নয়, টাকা দিয়া সব চেনা, যেখানে জন্মদাত্রী মায়ের তুলনার  মেয়ে কে হয় বেচা _কেনা। সমাজ তো বদলাবেনা আমাদের ভাবনা বদলাতে লাগবে, তবেই তো মায়ের মতন সম্মান জনক মেয়েরাও জাগবে।।

কবিতাঃ বাঁচার লড়াই,কবি -বিমান প্রামানিক ,New Bengali Poem- Banchar Larai. Poet- Biman Pramanik

বাঁচার লড়াই বিমান প্রামানিক  কেউ রয়েছে প্রাসাদ চুড়ায় কেউ আবার রাস্তার মোড়ে, কারও ঘরে রাশি রাশি খাবার  কেউ ছুটছে আস্তাকুড়ে।  বিশ্ব জুড়ে এলো মহামারি সবাই আজ কর্ম হারা,  কেউ আবার অহংকারী কেউ হচ্ছে দিশেহারা। ফুটপাতে থাকে যারা অন্ন তাদের জোটে না,  গ্রামের মানুষ অসহায় তাদের কর্মস্থল আজ অচেনা।  বিশ্ব এখন যুদ্ধ করে অদেখা এক কীটের সাথে,  আমরা সাধারন, ঘরে ঘরে প্রাণ বাঁচানোর লড়াইতে। অর্থ আছে সেই লোকটি নিজের ঘরে দরজা এঁটে, রাশি রাশি খাবার জমিয়ে মান্যতা দেয় লকডাউনকে।  আর এক শ্রেণীর আছে যারা সকাল হলেই চিন্তা করে  দুপুরবেলা জুটবে কি পাতে? দিশেহারা সন্তানদের অন্ন জোগাড়ে। যদিও কোথাও দিচ্ছে খাবার শুনেই ছুটে ভিড়াভিড়ী, পথের মাঝে সেই তো আবার খাবারের জন্য মারামারি । দোষ কিসের তার? বাড়িতে নেই এক মুঠি চাল,  চিন্তায় মাথায় আগুন জ্বলে আজ যদিও হলো, কি হবে কাল? 

কবিতাঃ-বনেদীর হাত ধরে বারোয়ারী ,কবিঃঅরবিন্দ সরকার Bengali New Poem-Bonedir Hat Dore Baroyari,Poet:-Arabinda Sarkar

  বনেদীর হাত ধরে বারোয়ারী অরবিন্দ সরকার অষ্টাদশ শতকে , নদীয়ার তাহেরপুরে কংস নারায়ণের হাত ধরে,পরে রাজসাহীর জগৎনারায়ন পত্তন করে দুর্গাপূজা। রাজা, মহারাজ, জমিদারের পুজো তাই বনেদী, অর্থাৎ বুনিয়াদি।  কালক্রমে রাজ রাজারা ছিন্নভিন্ন, জমিদার উচ্ছন্ন,  দুর্গাপুজো এলো ঘটপুজোয়! ক্রমে প্রজাবৃন্দ দশগ্রাম ছড়িয়ে আনন্দ , চাঁদা তুলে প্রতিমাপুজা শুরু। ক্রমে পাড়ায় পাড়ায়, শহরে উন্নত ধারায় মাতৃ আরাধনা! সবার মধ্যে ছড়িয়ে বারোয়ারী সার্ব্বজনীন! প্রচলনে বনেদী , ধারাবাহিকতায় বারোয়ারী। গন্ধে মাতোয়ারা, চাঁদাবাজি বেপরোয়া,প্রসাদে কিঞ্চিৎ , প্যান্ডেলে মহীরাবন,এককোনে দেবীর বন্দনা, যেনো অশোককাননে বন্দীসীতা! এখনো কোনো দুর্গার ছিন্নশাড়ী, শিশু পুত্রের মনভারী,বাপ মায়ের ভিক্ষা কারবারী ,অন্নদার খোঁজে?

কবিতাঃ-শ্রাবণ-বেলার গান-গপ্পো ,কবিঃগোবিন্দ মোদক Bengali New Poem-Shrabon Belar Gan Goppo , Poet:- Gabinda Modak

 শ্রাবণ-বেলার গান-গপ্পো। গোবিন্দ মোদক  তোমাকে একটা শ্রাবণের কথা বলেছিলাম  সেই শ্রাবণ, যেখানে অবিরত ধারাবর্ষণ .... বাধাহীন .... বল্গাহীন .... মাত্রাহীন .... আর বাদল দিনের প্রথম কদম ফুলের                                 সুবাস মেখে বৃষ্টি-এঁটো পথ ধরে কাদা-পায়ে এগিয়ে চলা  কোনও এক নিঃসঙ্গ ফেরিওয়ালার কথা ...  তাও তোমাকে বলেছিলাম ....। আর আজ এই মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টিতে আমি ভাবনার সওদাগর সেজেছি, আমার ঝোলায় সঙ্গোপনে রয়েছে --- তরতাজা চুনো-মাছ, সোঁদা গন্ধ, খলবলে বিল-বাঁওড়, ব্যাঙের মকমক,  কাগজের নৌকো, বৃষ্টিদিনের কাব্য-কথা,   আর লেবুফুলের সুঘ্রাণ মাখা সেই ছোটবেলা । আজ আমি স্মৃতিমেদুর .... শ্রাবণের বুকে মুখ রেখে আজ আমি দুর্নিবার ... আমার কানে ভেসে আসছে রাধা-কৃষ্ণের গান, আর নাকে ভাসছে গরম তালের বড়ার গন্ধ!

কবিতাঃ- কেন ভগবান , কবিঃ নেপাল চন্দ্র সরকার Bengali New Poem- Keno Vagoban, Poet:- Nepal Chandra Sarkar

 কেন ভগবান  নেপাল চন্দ্র সরকার  হে ভগবান  একি তব সার,দেখি সন্মুখে, রাশ রাশি ফেনায়িত সুরে  উঠে ফুটে কিবা দূর্যোগে             ম্লান মুখ রাশি । কহ তুমি,হে বিধানের বিধি  হেন নির্মম অতি নির্মল  ধরা মন্দিরে আনিলে মোরে  কেন,আসক্তি আলিঙ্গন  চিরস্থায়ী জীবনে ? আজি অন্ধ,অর্থে দিশেহারা, জীবন যৌবন করে আনাগোনা, কাঁদি অতীব গোপন দুয়ারে  শির নত করি আঁখি জলে । আজি প্রেম পিপাসিত  আকাংখা কাল ধারাস্রোতে, যৌবন কাঁদে স্বপ্ন ব‍্যদনায় করিতে সফল নব যৌবনে। তবে,কেন আজি এ পাষান দুনিয়ায়  শুচি গৌরব মায়াময়, প্রেম,প্রেমীক প্রেমীকা, কাঁদে, অতি ব‍্যবধানে  যদিও নিগূঢ় প্রেম হৃদ গহ্বরে।হে বিধি,আজি কোন পিপাসায় -- মুই,মর্মাহত দিবানিশি ! জনম তবে মৌল কোন কালে?  ধ‍্যান নেত্র যুগোলে মম বর্ষা নামে  -- বাদল খেলিছে নিতূই গগনে, কেন পীড়িতি কাঁদে আজি             এষণীর ডালে।

গল্পঃ- ইস্কুল জীবনের স্থিতি,লেখকঃরুহুল আমিন । Bengali Story | Ruhul Amin

Image
        ইস্কুল জীবনের স্থিতি                                                                                           রুহুল আমিন                                                                                  ব্যা বসার সমস্ত দ্বায়িত্ব সন্তানের কাঁধে ফেলে সুমন এখন অবসর প্রাপ্ত জীবন-যাপন করছেন। সমস্যা শুধু সময় ব্যয় করা নিয়ে , বই পড়ে আর একটা চিন্তার জগৎ গড়ে তুলতে বাকি সময়টা সে কাটাতে চায়। দিন-দুপুরে ঘুমালে শরীরটা ম্যাজম্যাজ করে সুমনের। রাতে ঘুম আসে না পায়চারি করতে হয়। বিকালে হাঁটতে বার হয় ফুটপাত ধরে , কখনও স্টেশনের পাশে বসে ট্...

কবিতাঃ- মমতাজের প্রয়োজনে, কবিঃ সেখ নুরুল হুদা Poem:- Mamtajer Proyojone, Poet: Sekh Nurul Huda

Image
        মমতাজের প্রয়োজনে                                    কবি সেখ নুরুল হুদা                                                            তুমি চুরি করে এসেছিলে--আমার কাছে দুর্বার গতিতে , এই দিগন্ত নীল আকাশের নীচে। বলেছিলাম : আসার জন্য চেষ্টা করো প্রতিশ্রুতি দিও না হৃদয়ের দরজা খুলে   প্রতিশ্রুতি থাকে না জীবনে চলার পথে। তবু এসেছিলে তোমার অনুরাগ দেহখানা নিয়ে। তখন তোমার জঠরে-চুম্বনে , এঁকেছিলুম তাজমহল। এখন তুমি রাজনীতির গোপন ইতিহাসে ' গহীন কবর মাঝে '   তবু আমি প্রতীক্ষায়। শুধু তোমার ভালোবাসায়--- এসো মমতাজ। এসো। দেখ মমতাজ! ভালোবাসা হঠাৎ আসে না , আসে--- সংগ্রামের পথ দিয়ে। আমি সেই প...